বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেল, মাতারবাড়ী জ্বালানি হাব, গভীর সমুদ্রবন্দর, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন মিলে আগামী চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক যুদ্ধে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের নগরী, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম বর্তমান সরকারের আমলে নতুন ফোকাসে এসেছে। বেশ কিছু মেগা প্রকল্পে লাখো কোটি টাকার বিনিয়োগে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। সরকারের সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের শুধু প্রবেশদ্বার নয় চট্টগ্রাম হয়ে উঠছে ভারতের সেভেন সিস্টারস খ্যাত অঙ্গরাজ্যগুলোসহ নেপাল, ভুটানেরও প্রবেশদ্বার। নদী, সড়ক, রেল, আকাশপথের কানেকটিভিটি উন্নততর করার মধ্য দিয়ে এটি সম্ভব হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এক যুগের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিশ্ব অর্থনীতির নজর কেড়েছে। প্রতিদিনই বিদেশি বিনিয়োগকারী আসছেন। স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোতে তাদের আগ্রহ বেশি। আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা ‘তরুণ জনশক্তি’। যুগোপযোগী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের জনসম্পদে পরিণত করছে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, এলএনজি, এলপিজি সরবরাহেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এ ছাড়া অবকাঠামোর জন্য সিমেন্ট, ইস্পাতসহ বিশ্বমানের নানা উপকরণ দেশেই সহজলভ্য। সব মিলিয়ে বিনিয়োগের প্রাইম লোকেশন এখন বাংলাদেশ, বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রকল্পগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীতাকু- উপজেলার সমুদ্রপারে বসুন্ধরা অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড যে জ্বালানি তেল শোধনাগার প্ল্যান্ট স্থাপন করছে সেটি দেশের বিপুল চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। এখানে লিকুফায়েড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), ডিজেল, পেট্রল, ফার্নেস অয়েল ও এভিয়েশন ফুয়েল (জেট এ-১) উৎপাদন হবে। এ ছাড়া মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে আমাদের আরেকটি বড় প্রকল্প ‘বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন’এর উন্নয়ন কাজ চলছে। আমরা শ্রমিক নির্ভর বিশাল শিল্প গড়ে তুলবো। বসুন্ধরা কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ‘দ্য গ্রাউন্ডব্রেকিং’ হয়ে গেছে। আনুমানিক তিন বছরের মধ্যে তিনটি বড় ইন্ডাস্ট্রি এখানে হবে। এখানে একটি কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, একটি সোডা অ্যাশ এবং আরেকটি স্টিল ইন্ডাস্ট্রি করবো আমরা। সোডা অ্যাশ কারখানা বাংলাদেশে নেই। এখন সোডা অ্যাশ আমদানি নির্ভর। মিরসরাই, সীতাকু-ে আমরা যে ক’টি কারখানা করবো আলটিমেটলি এগুলো পিপলস প্রপার্টি, এটি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রপার্টি নয়, এটি জাতীয় সম্পদ। এটি সবার মনে রাখতে হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের আয়তন বাড়াতে হবে মিরসরাই পর্যন্ত। আমি জানি, চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তিন-চারটি ফ্লাইওভার বা ওভারপাস হয়েছে। লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আউটার রিং রোড হয়েছে। ভাটিয়ারি লিংক রোড হয়েছে। যানজট কমে এসেছে। এখন সীতাকু–মিরসরাই পর্যন্ত লোকাল ট্রেন সার্ভিস চালু করতে হবে। যাতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের শ্রমিক-কর্মকর্তারা দ্রুততম সময়ে আসা-যাওয়া করতে পারে। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চায়। জ্বালানিসহ আবশ্যক কিছু পণ্যে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চায়। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সব কাজ করতে চায় বসুন্ধরা গ্রুপ।
SOURCE : দৈনিক পূর্বকোণবসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials at Bhola Night and Day school
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group A Trusted Name for Underprivileged Meritorious Students
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে
Tree Plantation Campaign Held at Rajshahi University
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur