‘আমার দুই ছেলেকে নিয়ে এখন আর কোনো চিন্তা নেই। তাদের পড়ার খরচ চালাতে কষ্ট হবে না। এখন সেলাই করে যে টাকা আয় করতে পারব, তা দিয়ে ছেলেদের খাওয়াতেও পারব। আর না খেয়ে থাকতে হবে না।
বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছে।’ বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন উপহার পেয়ে কৃতজ্ঞতার সুরে কথাগুলো বলছিলেন পাবনার সুজানগর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের ছালমা খাতুন। পাবনা শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের এই গ্রামটির একটি টিনশেড ঘরে দুই ছেলেকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান ছালমা খাতুন। অভাবের সংসারে বড় মেয়েকে বেশি পড়ালেখা করাতে পারেননি।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মেয়েকে বিয়ে দেন। দুই বছর আগে স্বামী মো. আজাদ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি ভ্যান চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে বাসাবাড়িতে কাজ শুরু করেন ছালমা।
বড় ছেলে জয় মাদরাসায় পড়াশোনা করছে আর তিন বছরের ছোট ছেলে ফাহিমকে কোলে নিয়েই প্রতিদিন কাজ করতে যান ছালমা। অসুস্থ হলে আর কাজে যেতে পারেন না। তখন না খেয়েই দিন পার করতে হয়। ছালমা বেগমের এমন অবস্থা দেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ তার পাশে দাঁড়ায়। সুজানগরে বসুন্ধরা শুভসংঘ সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাঁকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ছালমার হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত ছালমা আরো বলেন, ‘ছেলেদের ঠিকমতো খাওয়াতে ও পড়াতে না পেরে আমি যখন দিশাহারা, তখনই পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা গ্রুপ। তারা আমাকে বেঁচে থাকার অবলম্বন দিয়েছে। এখন আমি ভালোভাবে চলতে পারব। আল্লাহ যেন বসুন্ধরা গ্রুপের সবাইকে ভালো রাখেন, এই দোয়া করি।’
ছালমার মতো এমন অসহায় ৫০ নারীর হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন মাসের বিনা মূল্যের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেয়েছেন এই নারীরা। তাঁদেরই একজন রাশিদা পারভীন। স্বামী ওয়াজেদ আলী মারা গেছেন দুই বছর হলো। অভাবের তাড়নায় মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছিলেন অল্প বয়সেই। সেই সংসার টিকেনি বেশিদিন। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন রাশিদার মেয়ে সাথী। রাশিদা পারভীনের বড় ছেলে রাজু আর ছোট ছেলে রনি দিনমজুরের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান। পথ না পেয়ে সাথী বিভিন্ন হোটেলে রান্নার কাজ করেন। সেলাইয়ের কাজ জানা থাকলেও নেই কোনো সেলাই মেশিন। সংসারের হাল ধরতে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ নেন রাশিদা। প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন পেয়ে রাশিদা পারভীন অনেক খুশি। তিনি বলেন, ‘এখন একটা নিজস্ব সেলাই মেশিন হয়েছে। সংসারের আর কোনো অভাব থাকবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের অভাব দূর করেছে। তাদের জন্য অনেক দোয়া করি।’
চাটমোহরে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার দূরে ঝরনা বেগমের বাড়ি। স্বামী অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছেন ছয় বছর আগে। তিন ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটে তাঁর। দিনমজুরের কাজ করে প্রতিদিন যা আয় করেন, তা দিয়েই দিন পার করেন। বড় ছেলে রাকিব প্রতিবন্ধী। তাঁর এই দুরবস্থা দেখে বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেয়ে ঝরনা খাতুন এখন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলার স্বপ্ন দেখেন। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘যে অসুবিধায় ছিলাম, কেউ একবার খোঁজও নেয়নি। কত মানুষের কাছে গেছি, কেউ ফিরেও দেখেনি। এলাকার শুভসংঘের ভাইদের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ চলার ব্যবস্থা করছে। দোয়া করি, আল্লাহ যেন বসুন্ধরার মালিককে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন। তাঁর পরিবারের সবাইকে দীর্ঘজীবী করেন।’
SOURCE : কালের কণ্ঠবসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials at Bhola Night and Day school
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group A Trusted Name for Underprivileged Meritorious Students
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে
Tree Plantation Campaign Held at Rajshahi University
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur