স্বর্ণ শুধু অলংকার নয়, ভবিষ্যতের নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনের এ ফেয়ার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহানসহ বাজুস নেতারা। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সংসদ সদস্য ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, স্বর্ণ ও জমি কেনায় কোনো সময় লোকসান হয় না। যাদের অলস অর্থ আছে তারা এই খাতে নিরাপদ বিনিয়োগ করতে পারেন। কেননা আমি দেখেছি গত ২০ বছরে জমি ও স্বর্ণের দাম কমেনি। স্বর্ণের দাম নিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার অনুসারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়। কেউ স্থানীয়ভাবে এর দাম নির্ধারণ করে না।
নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০ বছর আগে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা স্বর্ণের দাম ছিল। বর্তমান বাজারে ৯১ হাজার টাকা ভরি। অর্থাৎ গত ২০ বছরে ১৫ গুণ বেড়েছে সোনার দাম। তাই আমি মনে করি, আগামী ২০ বছরে স্বর্ণের ভরি ৯ লাখ হতে পারে। আমি মনে করি, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
এ সময় মেলার আয়োজকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়ন ও দেশের জুয়েলারি শিল্পীদের হাতে গড়া অলংকার দেশে-বিদেশে তুলে ধরতে এবং এর পরিচিতি বাড়াতে এ ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন দ্বিতীয় বাজুস ফেয়ার ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।
বাজুস ফেয়ার-২০২৩ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে বাজুস আশা করছে। দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে।
বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলংকার ক্রয় করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র্যাফেল ড্রয়ের কুপন সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে।
এবার বাজুস ফেয়ারে ৮টি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, আপন জুয়েলার্স, অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., ভেনাস জুয়েলার্স লিমিটেড, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেড।
মিনি প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ভিনায়েক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স, দি পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স, জায়া গোল্ড, জারা গোল্ড, আলভী জুয়েলার্স, রিজভী জুয়েলার্স, রয়েল ডায়মন্ড, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি ও রাজ ঐশ্বরী গোল্ড।
স্টলে অংশ নেওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- এল কে জুয়েলার্স, চৌধুরী গোল্ড, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, আনন্দ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, আফতাব জুয়েলার্স, ফারিহা জুয়েলার্স, আই. কে জুয়েলার্স লিমিটেড, রজনীগন্ধা জুয়েলার্স লিমিটেড, সুলতানা জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেড, নিবিড় জুয়েলার্স, সিরাজ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, অনন্যা জুয়েলার্স, ডায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, ডি. ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারি, ডি. ডায়মন্ড, কুইন পার্ল হাউজ, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, সোল জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড, পলাশ জুয়েলার্স, ক্লাসিক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি, ডায়মন্ড কর্ণার, গোল্ড কিং জুয়েলার্স, দি সোনারগাঁ জুয়েলার্স, মনিমালা জুয়েলার্স, আর এন মাইক্রোটেক, বাংলাদেশ ডাইস হাউজ ও এসজিএল ল্যাব বাংলাদেশ লিমিটেড।
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials at Bhola Night and Day school
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group A Trusted Name for Underprivileged Meritorious Students
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে
Tree Plantation Campaign Held at Rajshahi University
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur